Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the pricing-table-by-supsystic domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home2/agameerprotyasha/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121

Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the really-simple-ssl domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home2/agameerprotyasha/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
রাজশাহী অঞ্চলে শস্যবীজের ঊর্ধ্বমুখী দামে বিপাকে কৃষক - Agameer Protyasha
ঢাকা ০৫:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনামঃ
Logo রাসূল (সা.) এর শ্রমনীতি ও বর্তমান প্রেক্ষাপট Logo পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় বাঘা চারঘাটে অবরোধবিরোধী মিছিল সমাবেশ Logo কালুখালীতে জাতীয় যুব দিবস পালিত Logo দৌলতপুরে ওয়ান শুটারগানসহ ২ ভাই গ্রেপ্তার Logo প্রথম ভারত দর্শন ও প্রাসঙ্গিকতা Logo ত্রিপক্ষীয় বিদ্যুৎ লেনদেনের উদ্বোধনঃ ভারতীয় গ্রিডের মাধ্যমে নেপাল থেকে বাংলাদেশে Logo শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের নারী সদস্যদের স্বামীদের নিয়ে পুরুষ সংবেদনশীল কর্মশালা Logo শহিদুল ইসলাম বাবুলের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করায় মধুখালীতে আনন্দ মিছিল Logo রাজশাহী অঞ্চলে শস্যবীজের ঊর্ধ্বমুখী দামে বিপাকে কৃষক Logo কুষ্টিয়ায় বাসে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া কার্যকর
প্রতিনিধি নিয়োগঃ
এটি একটি প্রিন্টভার্ষণ পত্রিকার ওয়েবসাইট। সারাদেশে জেলা উপজেলায় প্রতিনিধি নিয়োগ করা হবে। আগ্রহীদের শুধুমাত্র ইমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করার জন্য বলা হইলো। -বার্তা সম্পাদক।

রাজশাহী অঞ্চলে শস্যবীজের ঊর্ধ্বমুখী দামে বিপাকে কৃষক

রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলের হাট-বাজারে শীতকালীন শস্যবীজের চাহিদা বাড়লেও সাম্প্রতিক বন্যা এবং নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতায় শস্যবীজের দাম বেড়ে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছে কৃষকরা। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আসন্ন শীতকালীন মৌসুমে শাক-সবজির আবাদ কমে যাওয়ার পাশাপাশি উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বর্ষা মৌসুমের শেষে শীতকালীন মৌসুমের মসলাসহ বিভিন্ন শস্যের চাহিদা বেড়েছে, কিন্তু দেশে আমদানি সংকটের কারণে শস্যবীজের সরবরাহ কমে গেছে।

 

চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাঁচটি জেলা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের বন্যায় কৃষকদের নিজস্ব বীজভাণ্ডার নষ্ট হয়ে যাওয়ায় রবি মৌসুমের শুরুতেই প্রায় সব ধরনের শস্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। এর মধ্যে ধান, সরিষা, ধনিয়া, কালিজিরা, মরিচ, বাদাম ও ডালজাতীয় শস্যবীজের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। কৃষি বিভাগ এবং বাজার সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রতিদিনই শস্যবীজের দাম লাফিয়ে বাড়ছে। উদাহরণস্বরূপ, ১০ দিন আগে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি সরিষা বীজ বিক্রি হয়েছিল ৮০-৮৩ টাকায়, কিন্তু এখন তা প্রায় ১০০ টাকায় পৌঁছেছে। অন্যদিকে, সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে বাদামের দাম কেজিপ্রতি ৪-৬ টাকা বেড়ে ১৪০-১৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, মরিচ ৩৫-৪০ টাকা বেড়ে ১৮০-১৮৫ টাকায়, ধনিয়া ৩৫ টাকা বেড়ে ৯৫ টাকায়, এবং কালিজিরা ১৫-২০ টাকা বেড়ে ৩৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকারি বাজারে বাড়তি চাহিদার কারণে এসব শস্যের দাম বেড়েছে। কৃষকরা সাধারণত রবি মৌসুমে সরিষা, মরিচ, বাদাম, ধনিয়া, হলুদ, ভুট্টা, গম, সয়াবিন, তিল, তিসি, সূর্যমুখী, মসুর, ছোলা, বার্লি, মাষকলাই, মুগ, খেসারি, ফেলন, মটর, অড়হরসহ নানা শস্য রোপণ করেন। অধিকাংশ শস্যের বীজ কৃষকরা নিজেই মজুদ করে রাখেন, তবে পাইকারি বাজারে কিছু শস্যের বীজ লেনদেন হয়।

 

এবার বন্যা, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও পূজার ছুটির কারণে আমদানি প্রক্রিয়ায় ধীরগতি থাকায় দেশজুড়ে শস্যবীজের সংকট তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শস্য ভারত থেকেই আমদানি করা হয়। যদিও বর্তমানে আমদানি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তবে সরবরাহ স্বাভাবিক হতে কিছু সময় লাগবে।

 

এদিকে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার ৪৬টি উপজেলায় অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে কৃষকদের ক্ষতি হয়েছে। কৃষি বিভাগ শীতকালীন সবজি উৎপাদনের জন্য প্রণোদনা ও বীজ সরবরাহ করছে। এর মধ্যে বোরো বীজের জন্য ১০ কোটি ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং শীতকালীন সবজি বীজ ও নগদ সহায়তার জন্য ১৪ কোটি ১ লাখ ১৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

 

কৃষি কর্মকর্তারা মনে করছেন, বীজের দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষকদের খরচ বেড়ে যাচ্ছে, যার ফলে চাষের পরিমাণ কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বাজারে বীজের দাম বাড়লে কৃষকের উৎপাদন খরচ বাড়ে, আর বেশি দাম হলে চাষের আগ্রহ কমে যায়। তবে বীজের সরবরাহ সংকট সবচেয়ে মারাত্মক, কারণ উচ্চ দাম সত্ত্বেও কৃষক যদি সময়মতো বীজ না পায়, তবে চাষাবাদে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।

কৃষি বিভাগ এবং বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, শস্যবীজের সরবরাহে সংকট দূর করার জন্য সরকারি প্রণোদনা ও বীজ সরবরাহ আরও বাড়ানো উচিত। বিশেষত রবি মৌসুমের আগে কৃষকদের বীজ ও সারের জন্য বাড়তি সহায়তা প্রয়োজন। শস্যবীজের দাম বেড়ে যাওয়ার পরও সরকারিভাবে সহায়তা না পেলে আগামী মৌসুমে রবিশস্য উৎপাদন কমে যেতে পারে, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাসূল (সা.) এর শ্রমনীতি ও বর্তমান প্রেক্ষাপট

রাজশাহী অঞ্চলে শস্যবীজের ঊর্ধ্বমুখী দামে বিপাকে কৃষক

আপডেট সময় ০৫:৩৬:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলের হাট-বাজারে শীতকালীন শস্যবীজের চাহিদা বাড়লেও সাম্প্রতিক বন্যা এবং নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতায় শস্যবীজের দাম বেড়ে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছে কৃষকরা। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আসন্ন শীতকালীন মৌসুমে শাক-সবজির আবাদ কমে যাওয়ার পাশাপাশি উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বর্ষা মৌসুমের শেষে শীতকালীন মৌসুমের মসলাসহ বিভিন্ন শস্যের চাহিদা বেড়েছে, কিন্তু দেশে আমদানি সংকটের কারণে শস্যবীজের সরবরাহ কমে গেছে।

 

চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাঁচটি জেলা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের বন্যায় কৃষকদের নিজস্ব বীজভাণ্ডার নষ্ট হয়ে যাওয়ায় রবি মৌসুমের শুরুতেই প্রায় সব ধরনের শস্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। এর মধ্যে ধান, সরিষা, ধনিয়া, কালিজিরা, মরিচ, বাদাম ও ডালজাতীয় শস্যবীজের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। কৃষি বিভাগ এবং বাজার সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রতিদিনই শস্যবীজের দাম লাফিয়ে বাড়ছে। উদাহরণস্বরূপ, ১০ দিন আগে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি সরিষা বীজ বিক্রি হয়েছিল ৮০-৮৩ টাকায়, কিন্তু এখন তা প্রায় ১০০ টাকায় পৌঁছেছে। অন্যদিকে, সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে বাদামের দাম কেজিপ্রতি ৪-৬ টাকা বেড়ে ১৪০-১৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, মরিচ ৩৫-৪০ টাকা বেড়ে ১৮০-১৮৫ টাকায়, ধনিয়া ৩৫ টাকা বেড়ে ৯৫ টাকায়, এবং কালিজিরা ১৫-২০ টাকা বেড়ে ৩৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকারি বাজারে বাড়তি চাহিদার কারণে এসব শস্যের দাম বেড়েছে। কৃষকরা সাধারণত রবি মৌসুমে সরিষা, মরিচ, বাদাম, ধনিয়া, হলুদ, ভুট্টা, গম, সয়াবিন, তিল, তিসি, সূর্যমুখী, মসুর, ছোলা, বার্লি, মাষকলাই, মুগ, খেসারি, ফেলন, মটর, অড়হরসহ নানা শস্য রোপণ করেন। অধিকাংশ শস্যের বীজ কৃষকরা নিজেই মজুদ করে রাখেন, তবে পাইকারি বাজারে কিছু শস্যের বীজ লেনদেন হয়।

 

এবার বন্যা, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও পূজার ছুটির কারণে আমদানি প্রক্রিয়ায় ধীরগতি থাকায় দেশজুড়ে শস্যবীজের সংকট তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শস্য ভারত থেকেই আমদানি করা হয়। যদিও বর্তমানে আমদানি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তবে সরবরাহ স্বাভাবিক হতে কিছু সময় লাগবে।

 

এদিকে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার ৪৬টি উপজেলায় অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে কৃষকদের ক্ষতি হয়েছে। কৃষি বিভাগ শীতকালীন সবজি উৎপাদনের জন্য প্রণোদনা ও বীজ সরবরাহ করছে। এর মধ্যে বোরো বীজের জন্য ১০ কোটি ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং শীতকালীন সবজি বীজ ও নগদ সহায়তার জন্য ১৪ কোটি ১ লাখ ১৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

 

কৃষি কর্মকর্তারা মনে করছেন, বীজের দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষকদের খরচ বেড়ে যাচ্ছে, যার ফলে চাষের পরিমাণ কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বাজারে বীজের দাম বাড়লে কৃষকের উৎপাদন খরচ বাড়ে, আর বেশি দাম হলে চাষের আগ্রহ কমে যায়। তবে বীজের সরবরাহ সংকট সবচেয়ে মারাত্মক, কারণ উচ্চ দাম সত্ত্বেও কৃষক যদি সময়মতো বীজ না পায়, তবে চাষাবাদে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।

কৃষি বিভাগ এবং বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, শস্যবীজের সরবরাহে সংকট দূর করার জন্য সরকারি প্রণোদনা ও বীজ সরবরাহ আরও বাড়ানো উচিত। বিশেষত রবি মৌসুমের আগে কৃষকদের বীজ ও সারের জন্য বাড়তি সহায়তা প্রয়োজন। শস্যবীজের দাম বেড়ে যাওয়ার পরও সরকারিভাবে সহায়তা না পেলে আগামী মৌসুমে রবিশস্য উৎপাদন কমে যেতে পারে, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/agameerprotyasha/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471

Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/agameerprotyasha/public_html/wp-content/plugins/really-simple-ssl/class-mixed-content-fixer.php on line 107