আজ কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ, আবাসন এবং নগর বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী মনোহর লাল, বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ শক্তি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সাথে যৌথভাবে নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ প্রবাহের উদ্বোধন করেন। এই উদ্বোধনটি একটি ভার্চুয়াল ইভেন্টের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়, যা আয়োজিত হয় নেপাল সরকারের জ্বালানি, পানি সম্পদ ও সেচ মন্ত্রণালয় দ্বারা।
এই ঐতিহাসিক মুহূর্তটি চিহ্নিত করে প্রথম ত্রিপক্ষীয় বিদ্যুৎ লেনদেন; যা ভারতীয় গ্রিডের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়েছে। ভারতের সরকার, নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মাননীয় পুষ্প কমল দাহল ‘প্রচণ্ড’-এর সফরের সময় ৪০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ রপ্তানির মাধ্যমে ভারতীয় গ্রিডের মাধ্যমে নেপাল থেকে বাংলাদেশে প্রথম ত্রিপক্ষীয় বিদ্যুৎ লেনদেন সহজতর করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল। সফরটি ৩১ মে থেকে ৩ জুন ২০২৩ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়, এবং উভয় পক্ষ শক্তি খাতসহ বৃহত্তর উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে, যা এই অঞ্চলের অর্থনীতির মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক বাড়াতে সহায়ক হবে।
এরপর, ৩ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে কাঠমান্ডুতে এনটিপিসি বিদ্যুৎ ব্যবসা নিগম, নেপাল বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় বিদ্যুৎ বিক্রয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
ভারতীয় গ্রিডের মাধ্যমে নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ প্রবাহ শুরু হলে বিদ্যুৎ খাতে উপ-আঞ্চলিক সংযোগ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ থেকে উৎসারিত বিদ্যুতের আমদানি বাংলাদেশের পাওয়ার মিক্সে নবায়নযোগ্য শক্তির অংশ বাড়াতে সাহায্য করবে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার এই অঞ্চলে বৃহত্তর বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য একটি ধারণা শেয়ার করেছেন, এবং নেপাল ও ভুটান দ্বারা উৎপাদিত জলবিদ্যুৎ ভাগ করার জন্য একটি দক্ষিণ এশীয় গ্রিড তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন। নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের উৎক্ষেপণ একটি দক্ষিণ এশীয় গ্রিড তৈরির দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বিদ্যুৎ বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য ভবিষ্যতের পদক্ষেপ হিসেবে, জাতীয় গ্রিডগুলিকে একযোগে আন্তঃসংযোগ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা এই অঞ্চলে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ প্রবাহকে সক্ষম করবে।