ঢাকা ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনামঃ
Logo ত্রিপক্ষীয় বিদ্যুৎ লেনদেনের উদ্বোধনঃ ভারতীয় গ্রিডের মাধ্যমে নেপাল থেকে বাংলাদেশে Logo শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের নারী সদস্যদের স্বামীদের নিয়ে পুরুষ সংবেদনশীল কর্মশালা Logo শহিদুল ইসলাম বাবুলের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করায় মধুখালীতে আনন্দ মিছিল Logo রাজশাহী অঞ্চলে শস্যবীজের ঊর্ধ্বমুখী দামে বিপাকে কৃষক Logo কুষ্টিয়ায় বাসে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া কার্যকর Logo কুষ্টিয়ায় এবার সামাজিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্র থেকে তরুণীর পলায়ন Logo বোয়ালমারীতে তদন্তে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে করা চাল আত্মসাতের অভিযোগের সত্যতা মেলেনি Logo বোয়ালমারীতে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বিয়ে! Logo বোয়ালমারীতে ট্রাকের সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালক নিহত Logo বোয়ালমারীতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী মিলন মৃধা
প্রতিনিধি নিয়োগঃ
এটি একটি প্রিন্টভার্ষণ পত্রিকার ওয়েবসাইট। সারাদেশে জেলা উপজেলায় প্রতিনিধি নিয়োগ করা হবে। আগ্রহীদের শুধুমাত্র ইমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করার জন্য বলা হইলো। -বার্তা সম্পাদক।

অনিয়ম আর দুর্নীতির পাহাড় কাশিয়ানী সমবায় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

  • স্টাফ রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৬:৫১:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ নভেম্বর ২০২৩
  • ২৪৫ বার পড়া হয়েছে

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা সমবায় কর্মকতা মো. মোরাদ আলীর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ভুয়া বিল-ভাউচারে কম্পিউটার কেনা ও প্রশিক্ষণের অর্থ আত্মসাৎ, ঋণ বিতরণে উৎকোচ নেওয়া, সমবায় দিবস পালনের নামে চাঁদা আদায়, সমিতি নিবন্ধনের নামে মোটা অংকের টাকা দাবি, সমিতির অডিট (হিসাব নিরীক্ষা) নামে ভয় দেখানো, পোস্টিং নীতিমালা উপেক্ষা করে নিজ উপজেলায় চাকরি, এলাকার প্রভাব ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

 

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মোরাদ আলী সমবায় কর্মকর্তা হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে নিজ উপজেলা কাশিয়ানীতে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর যোগদান করেন। ‘সমবায় পোস্টিং নীতিমালা’ অনুযায়ী নিজ উপজেলায় চাকরি করার বিধান কোন নেই। মোরাদ আলী একই উপজেলার বড়পারুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম কালা মিয়া।

 

সমবায়ের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে জেলার মধ্যে এ উপজেলা শীর্ষে থাকলেও, বর্তমান কর্মকর্তার দুর্নীতিতে ভেস্তে গেছে সেই সুনাম।

২০২২-২৩ অর্থ বছরে দিনব্যাপী সমবায় প্রশিক্ষণের জন্য সরকারিভাবে ১৫০০০ টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু সমবায় কর্মকর্তা ভুয়া বিল-ভাউচার দেখিয়ে সে টাকা উত্তোলন করে আত্মাসাৎ করেন। পরে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের মুখে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের ৮ আগস্টে তারিখবিহীন ব্যানার দিয়ে লোক দেখানো প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।

 

২০২৩-২৪ অর্থ বছরে অফিসের কম্পিউটার কেনার জন্য ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু ভুয়া বিল-ভাউচার দেখিয়ে এক মাস আগে সে টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন সমবায় কর্মকর্তা। একই অর্থ বছরে সমবায়ীদের জন্য চারটি প্রশিক্ষণের বরাদ্দ আসে। গত ৩০ আগস্ট উপজেলার পদ্মবিলা ১ ও ২নং আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩৪জন সদস্যের মাঝে ঋণ বিতরণের চেক হস্তান্তর করা হয়। একই ব্যানারের ওপর পুরানো প্রশিক্ষণ ব্যানার টাঙিয়ে চেক নিতে আসা সদস্যদের বসিয়ে ছবি তুলে প্রশিক্ষণ দেখানো হয়। পরবর্তীতে বিল-ভাউচার জমা দিয়ে প্রশিক্ষণের বরাদ্দের টাকা উত্তোলন নেন ওই কর্মকর্তা।

 

এছাড়া ঋণ পেতে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ওই ৩৪ সদস্যকে গুনতে হয়েছে ৭০০ থেকে ১৪০০ টাকা করে উৎকোচ। এসব টাকা পদ্মবিলা ১নং আশ্রয়ণ প্রকল্প বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি নান্নু মুন্সী সংগ্রহ করে ওই কর্মকর্তাকে দিয়েছেন।

 

টাকা নেওয়ার বিষয় জানতে চাইলে নান্নু মুন্সী বলেন, স্ট্যাম্প, কাগজপত্র কেনা ও যাতায়াত খরচ বাবদ টাকা নেওয়া হয়। প্রশিক্ষণের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের বসিয়ে ৫/১০ মিনিট কথা বলেছিলেন। সিংগাড়া-কলা নাস্তা দিয়েছিল। তবে কোন টাকা-টাকা পয়সা দেয়নি।

 

আশ্রয়ণ কেন্দ্রের বাসিন্দা মালা খানম বলেন, ‘আমার ও আমার বাবার নামে লোন করার জন্য প্রথমে ৫০০ টাকা জমা দেই। বাবা অসুস্থ থাকায় তার নামে লোন হয়নি। আমার নামে লোন করতে অফিসে পরবর্তীতে আরও ১২শ’ টাকা অফিসে খরচ দেওয়া লাগছে। তবে এর আগে কখন ঋণ করতে অফিসে টাকা দেওয়া লাগেনি।’

 

একই অভিযোগ করে আশ্রয়ণ কেন্দ্রের বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলের অপারেশনের জন্য জরুরী টাকা লাগবে। তাই আমি ও আমার ছেলের নামে সমবায় অফিস থেকে দুইটি লোন করেছি। সমবায় অফিসে খরচ বাবদ ২৮০০ টাকা দিতে হয়েছে।’

 

⇒ আরও পড়ুনঃ পদ্মার বুকে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান ৭ জেলে আটক ৩০ হাজার মিটার জাল ধ্বংস

 

এ সব অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য নিতে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. মোরাদ আলীর মুঠোফোনে কল দিলে তিনি অশালীন ভাষা, গালাগাল করে ফোন কেটে দেন।

 

এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ জেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. নবীউল ইসলাম বলেন, ‘আমি কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। যে কারণে কোন বক্তব্য দিতে পারছি না।’

ট্যাগস :

ত্রিপক্ষীয় বিদ্যুৎ লেনদেনের উদ্বোধনঃ ভারতীয় গ্রিডের মাধ্যমে নেপাল থেকে বাংলাদেশে

অনিয়ম আর দুর্নীতির পাহাড় কাশিয়ানী সমবায় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

আপডেট সময় ০৬:৫১:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ নভেম্বর ২০২৩

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা সমবায় কর্মকতা মো. মোরাদ আলীর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ভুয়া বিল-ভাউচারে কম্পিউটার কেনা ও প্রশিক্ষণের অর্থ আত্মসাৎ, ঋণ বিতরণে উৎকোচ নেওয়া, সমবায় দিবস পালনের নামে চাঁদা আদায়, সমিতি নিবন্ধনের নামে মোটা অংকের টাকা দাবি, সমিতির অডিট (হিসাব নিরীক্ষা) নামে ভয় দেখানো, পোস্টিং নীতিমালা উপেক্ষা করে নিজ উপজেলায় চাকরি, এলাকার প্রভাব ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

 

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মোরাদ আলী সমবায় কর্মকর্তা হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে নিজ উপজেলা কাশিয়ানীতে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর যোগদান করেন। ‘সমবায় পোস্টিং নীতিমালা’ অনুযায়ী নিজ উপজেলায় চাকরি করার বিধান কোন নেই। মোরাদ আলী একই উপজেলার বড়পারুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম কালা মিয়া।

 

সমবায়ের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে জেলার মধ্যে এ উপজেলা শীর্ষে থাকলেও, বর্তমান কর্মকর্তার দুর্নীতিতে ভেস্তে গেছে সেই সুনাম।

২০২২-২৩ অর্থ বছরে দিনব্যাপী সমবায় প্রশিক্ষণের জন্য সরকারিভাবে ১৫০০০ টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু সমবায় কর্মকর্তা ভুয়া বিল-ভাউচার দেখিয়ে সে টাকা উত্তোলন করে আত্মাসাৎ করেন। পরে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের মুখে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের ৮ আগস্টে তারিখবিহীন ব্যানার দিয়ে লোক দেখানো প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।

 

২০২৩-২৪ অর্থ বছরে অফিসের কম্পিউটার কেনার জন্য ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু ভুয়া বিল-ভাউচার দেখিয়ে এক মাস আগে সে টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন সমবায় কর্মকর্তা। একই অর্থ বছরে সমবায়ীদের জন্য চারটি প্রশিক্ষণের বরাদ্দ আসে। গত ৩০ আগস্ট উপজেলার পদ্মবিলা ১ ও ২নং আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩৪জন সদস্যের মাঝে ঋণ বিতরণের চেক হস্তান্তর করা হয়। একই ব্যানারের ওপর পুরানো প্রশিক্ষণ ব্যানার টাঙিয়ে চেক নিতে আসা সদস্যদের বসিয়ে ছবি তুলে প্রশিক্ষণ দেখানো হয়। পরবর্তীতে বিল-ভাউচার জমা দিয়ে প্রশিক্ষণের বরাদ্দের টাকা উত্তোলন নেন ওই কর্মকর্তা।

 

এছাড়া ঋণ পেতে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ওই ৩৪ সদস্যকে গুনতে হয়েছে ৭০০ থেকে ১৪০০ টাকা করে উৎকোচ। এসব টাকা পদ্মবিলা ১নং আশ্রয়ণ প্রকল্প বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি নান্নু মুন্সী সংগ্রহ করে ওই কর্মকর্তাকে দিয়েছেন।

 

টাকা নেওয়ার বিষয় জানতে চাইলে নান্নু মুন্সী বলেন, স্ট্যাম্প, কাগজপত্র কেনা ও যাতায়াত খরচ বাবদ টাকা নেওয়া হয়। প্রশিক্ষণের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের বসিয়ে ৫/১০ মিনিট কথা বলেছিলেন। সিংগাড়া-কলা নাস্তা দিয়েছিল। তবে কোন টাকা-টাকা পয়সা দেয়নি।

 

আশ্রয়ণ কেন্দ্রের বাসিন্দা মালা খানম বলেন, ‘আমার ও আমার বাবার নামে লোন করার জন্য প্রথমে ৫০০ টাকা জমা দেই। বাবা অসুস্থ থাকায় তার নামে লোন হয়নি। আমার নামে লোন করতে অফিসে পরবর্তীতে আরও ১২শ’ টাকা অফিসে খরচ দেওয়া লাগছে। তবে এর আগে কখন ঋণ করতে অফিসে টাকা দেওয়া লাগেনি।’

 

একই অভিযোগ করে আশ্রয়ণ কেন্দ্রের বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলের অপারেশনের জন্য জরুরী টাকা লাগবে। তাই আমি ও আমার ছেলের নামে সমবায় অফিস থেকে দুইটি লোন করেছি। সমবায় অফিসে খরচ বাবদ ২৮০০ টাকা দিতে হয়েছে।’

 

⇒ আরও পড়ুনঃ পদ্মার বুকে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান ৭ জেলে আটক ৩০ হাজার মিটার জাল ধ্বংস

 

এ সব অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য নিতে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. মোরাদ আলীর মুঠোফোনে কল দিলে তিনি অশালীন ভাষা, গালাগাল করে ফোন কেটে দেন।

 

এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ জেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. নবীউল ইসলাম বলেন, ‘আমি কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। যে কারণে কোন বক্তব্য দিতে পারছি না।’


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/agameerprotyasha/public_html/wp-includes/functions.php on line 5464

Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/agameerprotyasha/public_html/wp-content/plugins/really-simple-ssl/class-mixed-content-fixer.php on line 107