ঢাকা ০৯:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনামঃ
Logo ফরিদপুর জেলার ‘জেলা ক্রীড়া সংস্থা’র এ্যাডহক কমিটি ঘোষনা Logo বোয়ালমারী প্রেসক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি পুনর্গঠন Logo কুষ্টিয়ায় খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস থেকে নৈশপ্রহরীর মরদেহ উদ্ধার Logo রাসূল (সা.) এর শ্রমনীতি ও বর্তমান প্রেক্ষাপট Logo পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় বাঘা চারঘাটে অবরোধবিরোধী মিছিল সমাবেশ Logo কালুখালীতে জাতীয় যুব দিবস পালিত Logo দৌলতপুরে ওয়ান শুটারগানসহ ২ ভাই গ্রেপ্তার Logo প্রথম ভারত দর্শন ও প্রাসঙ্গিকতা Logo ত্রিপক্ষীয় বিদ্যুৎ লেনদেনের উদ্বোধনঃ ভারতীয় গ্রিডের মাধ্যমে নেপাল থেকে বাংলাদেশে Logo শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের নারী সদস্যদের স্বামীদের নিয়ে পুরুষ সংবেদনশীল কর্মশালা
প্রতিনিধি নিয়োগঃ
এটি একটি প্রিন্টভার্ষণ পত্রিকার ওয়েবসাইট। সারাদেশে জেলা উপজেলায় প্রতিনিধি নিয়োগ করা হবে। আগ্রহীদের শুধুমাত্র ইমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করার জন্য বলা হইলো। -বার্তা সম্পাদক।

সদরপুরে টেলিফোন গ্রাহকদের ভোগান্তি চরমে সংযোগ নেই দুই বৎসর

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানী লিমিটেড ( বিটিসিএল) এর সদরপুর উপজেলার গ্রাহকদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। দীর্ঘ দুই বৎসর যাবত বন্ধ রয়েছে।টেলিফোনের সংযোগ তারপরও প্রতি মাসে টেলিফোনের বিল গুনতে হচ্ছে গ্রাহকদের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় মোট সংযোগ রয়েছে ৬৮ টি। এর মধ্যে চালু রয়েছে মাত্র ১২ টি। বাকি ৫৬ টি টেলিফোনের সংযোগ বন্ধ রয়েছে দীর্ঘ দুই বৎসর যাবত। অথচ প্রতি মাসেই ১৭৩ টাকা করে প্রতি মাসে বিল গুনতে হচ্ছে গ্রাহকদের। ভোগান্তির এখানেই শেষ নয় সদরপুর উপজেলায় টেলিফোনের একাউন্ট বন্ধ থাকার কারনে গ্রাহকদের টেলিফোনের বিল দিতে হচ্ছে ফরিদপুর গিয়ে। যেন মরার উপরে খরার ঘা।

সদরপুর উপজেলার আটরশি গ্রামের বি,টি,সিএল এর গ্রাহক সিরাজ মোল্যা বলেন, আমাদের টেলিফোনের সংযোগ বন্ধ রয়েছে দীর্ঘ দুই বৎসর যাবত। নেই টেলিফোনের তার নেই অফিসের জনবল। অথচ প্রতি মাসেই ১৭৩ টাকা করে বিল আসছে। আবার সেই বিল দিতে হয় ফরিদপুরে গিয়ে। এতে আমরা ডবল ভোগান্তির শিকার হচ্ছি, অথচ এর কোন প্রতিকার হচ্ছেনা। তিনি আরো বলেন সদরপুরে বি টি সি এল এর অফিস না থাকার কারনে আমরা অভিযোগ করারও জায়গা পাচ্ছিনা।

বিটিসিএল এর সদরপুর উপজেলার আটরশিতে অবস্থিত এক্সচেক্সে কতজন কর্মকর্তা কর্মচারি রয়েছে সেটাও জানেনা কেউ। উক্ত অফিসের লাইনম্যান নওয়াবালি কে মাঝে মধ্যে দেখা গেলেও আর কাউকেই দেখা যায়না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখানে কর্মরত ষ্টাফ রয়েছে ৪ জন। তবে অফিসে কার্যক্রম না থাকার কারনে বাকিরা নিয়মিত অফিসে আসেননা বলে জানা গেছে।

এছাড়াও বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানী লিমিটেডের সদরপুর উপজেলা শাখা অফিসের সাইনবোর্ড না থাকার কারনে দেখে বোঝার উপায় নেই যে সেটা কিশের অফিস। অফিস আছে কিন্তু কাজ নেই, বিল আসছে প্রতিমাসে কিন্তু তার নেই, নেই সংযোগ, দীর্ঘদিন যাবৎ। তারপরেও প্রতি মাসে দিতে হচ্ছে টেলিফোন বিল। গ্রাহকদের এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে ব্যাপারটি স্বরেজমিনে তদন্ত পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দাবী জানিয়েছেন বিটিসিএল এর গ্রাহক সিরাজ মোল্যা।

ট্যাগস :

ফরিদপুর জেলার ‘জেলা ক্রীড়া সংস্থা’র এ্যাডহক কমিটি ঘোষনা

সদরপুরে টেলিফোন গ্রাহকদের ভোগান্তি চরমে সংযোগ নেই দুই বৎসর

আপডেট সময় ১২:০৫:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানী লিমিটেড ( বিটিসিএল) এর সদরপুর উপজেলার গ্রাহকদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। দীর্ঘ দুই বৎসর যাবত বন্ধ রয়েছে।টেলিফোনের সংযোগ তারপরও প্রতি মাসে টেলিফোনের বিল গুনতে হচ্ছে গ্রাহকদের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় মোট সংযোগ রয়েছে ৬৮ টি। এর মধ্যে চালু রয়েছে মাত্র ১২ টি। বাকি ৫৬ টি টেলিফোনের সংযোগ বন্ধ রয়েছে দীর্ঘ দুই বৎসর যাবত। অথচ প্রতি মাসেই ১৭৩ টাকা করে প্রতি মাসে বিল গুনতে হচ্ছে গ্রাহকদের। ভোগান্তির এখানেই শেষ নয় সদরপুর উপজেলায় টেলিফোনের একাউন্ট বন্ধ থাকার কারনে গ্রাহকদের টেলিফোনের বিল দিতে হচ্ছে ফরিদপুর গিয়ে। যেন মরার উপরে খরার ঘা।

সদরপুর উপজেলার আটরশি গ্রামের বি,টি,সিএল এর গ্রাহক সিরাজ মোল্যা বলেন, আমাদের টেলিফোনের সংযোগ বন্ধ রয়েছে দীর্ঘ দুই বৎসর যাবত। নেই টেলিফোনের তার নেই অফিসের জনবল। অথচ প্রতি মাসেই ১৭৩ টাকা করে বিল আসছে। আবার সেই বিল দিতে হয় ফরিদপুরে গিয়ে। এতে আমরা ডবল ভোগান্তির শিকার হচ্ছি, অথচ এর কোন প্রতিকার হচ্ছেনা। তিনি আরো বলেন সদরপুরে বি টি সি এল এর অফিস না থাকার কারনে আমরা অভিযোগ করারও জায়গা পাচ্ছিনা।

বিটিসিএল এর সদরপুর উপজেলার আটরশিতে অবস্থিত এক্সচেক্সে কতজন কর্মকর্তা কর্মচারি রয়েছে সেটাও জানেনা কেউ। উক্ত অফিসের লাইনম্যান নওয়াবালি কে মাঝে মধ্যে দেখা গেলেও আর কাউকেই দেখা যায়না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখানে কর্মরত ষ্টাফ রয়েছে ৪ জন। তবে অফিসে কার্যক্রম না থাকার কারনে বাকিরা নিয়মিত অফিসে আসেননা বলে জানা গেছে।

এছাড়াও বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানী লিমিটেডের সদরপুর উপজেলা শাখা অফিসের সাইনবোর্ড না থাকার কারনে দেখে বোঝার উপায় নেই যে সেটা কিশের অফিস। অফিস আছে কিন্তু কাজ নেই, বিল আসছে প্রতিমাসে কিন্তু তার নেই, নেই সংযোগ, দীর্ঘদিন যাবৎ। তারপরেও প্রতি মাসে দিতে হচ্ছে টেলিফোন বিল। গ্রাহকদের এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে ব্যাপারটি স্বরেজমিনে তদন্ত পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দাবী জানিয়েছেন বিটিসিএল এর গ্রাহক সিরাজ মোল্যা।