নাশকতার অভিযোগে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি’র সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মেজবাউর রহমান পিন্টুকেও আটক করা হয়।
মঙ্গলবার ( ৩১অক্টোবর) দুপুর ১২টায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ এবং কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে তাদেরকে জেলা বিএনপি’র নিজ কার্যালয় থেকে আটক করা হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ১৮টি বোমা, লোহার রড, বাঁশের লাঠি, ইটপাটকেল উদ্ধার করে পুলিশ।
কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে জেলা বিএনপি সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনসহ নেতাকর্মীরা নাশকতার লক্ষে একত্রে জড়ো হচ্ছিলেন। খবর পেয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে ১৮টি বোমা, বেশ কিছু লোহার রড, বাঁশের লাঠি ও ইটপাটকেলও উদ্ধার করা হয়। তিনি আরো জানান এবিষয়ে তাদেরকে পুলিশী হেফাজতে রাখা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলার বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।
অপর দিকে, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি রেজা আহাম্মেদ বাচ্চু মোল্লাকে দুপুর সাড়ে ১২টায় আটক করে দৌলতপুর থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার ( ৩১অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার থানার মোড় এলাকার বাড়ি থেকে তাঁকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা ।
এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( দৌলতপুর-ভেড়ামারা সার্কেল) মহসীন আল-মুরাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দৌলতপুর থানা পুলিশ তাকে আটক করেছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
কুষ্টিয়া পৌর বিএনপি’র সভাপতি কুতুব উদ্দিন আহমেদ জানান, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জেলা বিএনপি’র সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদকে বিএনপি’র দলীয় কার্যালয় থেকে আটক করে পুলিশ, আর সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনকে আটক করা হয় নিজ বাড়ি থেকে। তাদের আটকের বিষকে দু:খজনক দাবী করে তিনি বলেন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিল বিএনপি। কিন্তু শান্তিপূর্ণ এই আন্দোলনকে অশান্ত করতে সরকার পুলিশ বাহিনীকে দিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করছে। এভাবে সরকার পতন আন্দোলন ঠেকাতে পারবেনা সরকার। সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে বলে জানান তিনি।